কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের ওপারে চলছে সংঘর্ষ। ভারী গুলিবর্ষণও হচ্ছে। গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে এপারে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড উলুবনিয়া এলাকায় স্থানীয় নুরুল ইসলামের বসতঘরে এসে পড়ল এলএমজির গুলি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজুল মোস্তফা লালুর মাধ্যমে মোবাইলে কথা হয় নুরুল ইসলামের শাশুড়ি সামজিদা বেগমের সঙ্গে। তিনি জানান, গতকাল সকাল থেকেই টেকনাফের হোয়াইক্যং উলুবনিয়া সীমান্তের মিয়ানমার অংশ থেকে মর্টার শেল ও গুলির শব্দ আসতে থাকে। এতে করে সীমান্তবর্তী বসতবাড়ি কেঁপে ওঠে। হঠাৎ একটা গুলি আমার মেয়ের জামাইয়ের বসতঘরে টিনের দরজা ছিদ্র করে ঘরে পড়ে। আমরা আতংকিত হয়ে নিরাপদে সরে গেছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজুল মোস্তফা লালু জানান, টেকনাফের হোয়াইক্যং উলুবনিয়া, তুলাতুলি ও কানজরপাড়া সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের ওপারে এক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে। এতে করে ভয়ে আমরা চিংড়িঘেরেও যেতে পারছি না।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদনান চৌধুরী বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। পরে বিজিবির সদস্যরা খবর পেয়ে বসতঘরে এসে গুলিটা নিয়ে গেছে। সীমান্তবর্তী স্থানীয়দের সরানো হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে বিজিবি যদি আমাদের জানায়, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিজিবি সতর্ক রয়েছে।
পাঠকের মতামত